Thailand Food

একটি দেশের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান খাবার দাবার। কী রান্না করে, কীভাবে রান্না করে, কী খায়, কীভাবে খায় , কখন খায়, কীভাবে পরিবেশন করে সেসবও জরুরি অনুষঙ্গ।
.
ব্যাংককে বাংলাদেশী রেস্তুঁরা পর্যাপ্ত আছে। সেহরি ইফতারে তাই খেয়েছি। তবু মাঝে মাঝে ভিন্ন টেস্ট নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
.
থাইল্যান্ডের খাবারের কিছু নমুনা দিলাম। SIAM centre এর নিচতলায় থাই রেস্তোরাঁ kub kao kub pla তে প্রতিটি আইটেম খুব সুস্বাদু ছিল। নিজের পছন্দে খেলাম। ক্রিসপি লাইমলিফ হানি যোগে কোরাল মাছ ফ্রাইটা চোখ বন্ধ করে মুখে দিলে বেহেশতি খানা মনে হয় । নারকেলমিল্ক ও শাকযোগের স্যুপটা ইয়াম্মি!
.
আর আল মেরুজ হোটেলের বুফে আইটেমের সীফুডগুলো দারুণ ছিল। জাপানিজ সুশি সাশিমি আমার সবসময়ই আরাধ্য!এআইটিকে ধন্যবাদ বুফে ডিনারের জন্য।
আর বাকিগুলো স্ট্রিটফুড। আনারস-প্রন-ফ্রাইড রাইস আমার খুব ভালো লেগেছে। পাপায়া টক ঝাল মিষ্টি সালাদও মনে ধরেছে।
.
মধ্যরাতে ফুটপাতে নানান খাবার বিক্রি হয়। স্ট্রিটফুড বলে খ্যাত। বেশিরভাগই মজার। তবে এসব খাবার সবাই খেতে পারে না। অনেকেই খাবারের গন্ধে বমি করে দেয়! সুতরাং দেখতে সুন্দর হলেও সবাই বৈচিত্র্য বা ভিন্নতা সইতে পারে না। কিছু কিছু খাবারে আমিও পারি না! সুতরাং ছবি দেখে মন খারাপ করার দরকার নেই।
.
একদিন রাতে দেখলাম ফুটপাতে একটু লোক বাদাম বিক্রেতার মতো কী যেন বিক্রি করতেছে। ভাজা জিনিস। পরে দেখি সব পোকামাকড়! বলা, হুল, মৌমাছি, মাটির নিচের ওইপোকা, ঘাসফড়িং, কৃমি সদৃশ আরও নানান পদ। প্রতিটিই ভাজা। দামও কম নয়। সবাই জিপার ব্যাগে অল্প করে গ্রাম হিসেবে কিনতেছে! দেখেই আমার গা গুলিয়ে উঠলো। ছবি তোলারও সাহস পেলাম না।
.
অনেকেই বলেন কাকড়া ঝিনুক কী করে খান?
খাওয়া নির্ভর করে কীভাবে খান সেটা দিয়ে। পরিমাণ মতো যথাযথ সস দিয়ে কাকড়ার ভেতরের সাদা অংশগুলো মুখে দিলে তো অমৃত! সিদল শুঁটকির লাল ভর্তা খালি মুখে দিলে ভালো লাগবে? না। গরম ভাত দিয়ে আলতো করে মেখে মুটি বিনিয়ে মুখে দিন। অমৃত মনে হবে!
.
যাই হোক প্রতিটি খাবারের জন্যই প্রতিটি এলাকার মানুষের হার্দিক টান থাকে। সেসব না খেলে এদের কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আমরা যেমন বিদেশ গিয়েও বাংলা রেস্তুঁরা খুঁজি!
.
যাক, প্রতিটি খাবারের ছবির পাশে বর্ণনা ক্যাপশনে দেওয়া আছে!

-ড. সফিকুল ইসলাম।

(লেখাটি ভালো লাগলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। কিংবা ইমেইল করতে পারেন অনুভূতি জানিয়ে Shafiq.bcs@gmail.com। শেয়ার করতে পারেন ফেসবুকে বা লিংকডইনে। )

Share Now
Author

Dr. Shafiqul Islam

(BBA, MBA, DU; Mphil, Japan; PhD, Australia) Deputy Secretary, Government of Bangladesh. Chief Executive Officer, Cumilla City Corporation, Local Government Division, Ministry of LGRD
error: Content is protected !!

My Shopping Cart