পূর্বধারণা ভাবনাকে সীমিত করে
বয়সে ছোট হলেই কেউ কম জানবে, -এমন ধারণা মাথায় পুঁতে রেখে কোন জুনিয়রকে শুনতে নেই। কখনো কখনো জুনিয়রও বেশি জানতে পারে। আমি দেখেছি অনেক জুনিয়র অনেক বিষয়ে আমার চেয়ে ভালো জানে।
বয়সে বড় হলেই কেউ বেশি জানবে, এমনা ভাবাও সবসময় সমীচীন নয়। সেটা নাও হতে পারে। এমন ধারণা মনে স্থায়ী করে রাখলে কখনো কখনো ভুল হতে পারে।
ছোট পদে চাকুরি করলেই কেউ কম জানবে-এমন বদ্ধমূল ধারণা নিয়ে থাকাটাও ঠিক না। অনেকে ছোট পদে চাকুরি করেও অনেক বেশি জানতে পারে। পদে অনেক জুনিয়র থেকেও আমি অনেক বিষয় শিখেছি- এ জীবনে।
কোন একটি শহরে গেলে বা নতুন জায়গায় গেলে কেউ বললো যে অমুক অমুক লোক ভালো না। তারপরে এরকম পুর্বধারণা বজায় রেখে আচরণ করতে গেলে সমস্যা তৈরি হবে। সুতরাং নতুন কারো সাথে পরিচয় হতে গেলে অন্যের বলা কথা বাদ দিয়ে, পূর্ব ধারণা সরিয়ে, ফ্রেশ মনে আলাপ করুন, মিশুন। দেখবেন আস্তে আস্তে তার সাথে আপনার ক্রিয়া কর্ম দ্বারা সত্যি রূপটা জানতে পারবেন। অন্যথায় আপনি পূর্ব ধারণা নিয়ে থাকলে আপনার দ্বারা কোন ভুল আচরণ প্রকাশ পেয়ে যেতে পারে। একজনের কাছে যে খারাপ, অন্যের কাছে তা ভালোও হতে পারে।
কোন একটি আত্মীয়র বাড়িতে গেলে বা নতুন বউ হিসেবে নতুন বাড়িতে গেলে কারো সম্পর্কে কানকথা শুনে, পূর্ব ধারণা মনে রেখে পরিবারের সবার সাথে মিশতে যাওয়া ঠিক হবেনা। তাতে করে ভুল বোঝাবোঝি হতে পারে। বরং নিজে নিজে খোলা মনে মিশে তাদের সাথে চলে বোঝার চেষ্টা করুন -কে কেমন। আপনার সাথে ঘটা কাজ ও কর্মই ঠিক করবে কে কেমন। এতে করে সত্যিকার সম্পর্ক তৈরি হবে। পূর্বধারণা নিয়ে মিশতে গেলে অনেক সময় নতুন সম্পর্ককে অবমূল্যায়ন করা হয়। একজনের কাছে যে খারাপ, অন্যের কাছে তা ভালোও হতে পারে। আর কানকথা যে বললো সেও যে লোক কতটা ভালো তাও চিন্তার বিষয়।
-ড. সফিকুল ইসলাম।
(লেখাটি ভালো লাগলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। কিংবা ইমেইল করতে পারেন অনুভূতি জানিয়ে Shafiq.bcs@gmail.com। শেয়ার করতে পারেন ফেসবুকে বা লিংকডইনে। )