মার্কসবাদ ও ধর্ম
মার্কসবাদ মূলত পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। দুঃখজনক হলো ধর্মের বিরুদ্ধে এর ব্যবহার বেশি হয়েছে। হওয়া উচিত ছিলো ধর্ম ভিত্তিক ও রাজনীতি ভিত্তিক পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে। যে মানুষ ধর্ম বিশ্বাস করে, ধর্ম কর্ম করে, কারো সম্পদ বা অধিকার লুন্ঠন করে না তার বিরুদ্ধে মার্কসপন্থীর সংগ্রামের কিছু নেই।
ধার্মিকরা মার্কসবাদী হতে পারেন। হিন্দু, মুসলিম বা খ্রিস্টান ধর্ম বিশ্বাসী কারোরই মার্কসবাদী হতে বাঁধা নাই। তবে ধর্মের নামে অন্যের অধিকার ও সম্পদ লুন্ঠন যাদের বাহানা তাঁরা ধার্মিকও না ও মাক্সবাদীও না। অন্যদিকে যে মার্কসবাদী সকল ধার্মিককে বাদ দিয়ে দেন তিনিতো বিশ্বের অধিকাংশ মানুষকেই বাদ দিয়ে দেন। তিনি তার সংগ্রামের আওতাকে ছোট করে ফেলেন।
হুমায়ুন আজাদের ’পাক সার জমিন সাদ বাদ’ এর কট্ররপন্থীর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ এর উদাহরণ বাংলাদেশে অনেক আছে। অন্যদিকে বামপন্থী ধার্মিক নেতা মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর কথা আমরা জানি।প্রথমোক্ত কট্ররপন্থীদের ১৮০ ডিগ্রী র্যাডিক্যাল চেঞ্জ থেকে যেমন সাবধান হওয়া লাগবে তেমনি মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর অবস্থানটুকুও গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। যারা ধার্মীকতার কারণে মাওলানা ভাসানীকে বামপন্থী বা মার্কসপন্থীর তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেন, তারা তত্ত্বগতভাবে সত্য হলেও বাস্তবতার নিরীখে ভুল পথে ধাবিত।