সমস্যা মানবজীবনে আশীর্বাদ
মানুষ সমস্যামুক্ত থাকতে চায়। সেজন্য সে চেষ্টাও করে। সবই ঠিক আছে।
কিন্তু ধরেন কোনো সমস্যাই নেই- এ অবস্থাটাও মানুষ বেশিক্ষণ নিতে পারে না। মানুষের পঞ্চইন্দ্রিীয়, স্বভাব, মনোদৈহিক অবস্থা তারে খালি চিমটায়। কিছু একটা করতে বলে। কোথাও যেতে চায়, কারো সাথে মিথস্ক্রিয়া চায়, কোনো কিছু করতে চায়। আর এই প্রক্রিয়ায় সে প্রকৃতি থেকে বা তার নিজের থেকে সমস্যাতে জড়িয়ে যায়। সমস্যায় জড়ানোর পরে সে সমস্যা থেকে উতরাতে চায়। হয়তো পারে, হয়তো পারে না, হয়তো আরও নতুন কোনো সমস্যাতে জড়ায়ে যায়।
.
সোজা কথা, ভালো থাকতে ভুতে কিলায়। অভ্যন্তরীণ বা বহির্জগতের বিভিন্ন অনুষঙ্গ মানুষের জীবনে সমস্যার তৈরি করে বটে। কিন্তু সব অনুষঙ্গ যদি বিলকুল অনুকূলে থাকে তবুও মানুষ দীর্ঘকাল সমস্যামুক্ত থাকে না। থাকতে পারে না। মানুষ নিজেই সমস্যা ডেকে আনে, সমস্যা তৈরি করে, সমস্যার পথে হাঁটে। তথা কোনো না কোনা কাজ (অকাজ) দ্বারা সমস্যার খনি খুঁড়ে।
.
সেই মানুষ সমস্যায় পড়ার পড়ে চিল্লপাল্লা করে , হাউকাউ করে। পরে এজন্য নানান জনরে দোষারোপ করে। কাউরে না পাইলে বিশ্বাসীরা ওপরওয়ালার উপর দোষ দেয়, অবিশ্বাসীরা প্রকৃতির উপর দোষ দেয়। বলে হায় খোদা, তুমি আমারে এইডা করতে পারলা! অদৃষ্টে এই ছিল লেখা!
.
*বিধাতা বা প্রকৃতি তখন খুব করে হাসে। যেমন করে বাচ্চাদের বাচ্চাপনা দেখে আমরা খিলখিল করে হাসি, সেরকম হাসে।
.
*সমস্যাসহ জীবনই মানুষের জীবন। সমস্যাবিহীন জীবন আসলে মানুষের জীবন না। এত পানসে লাইফ মানুষের মনে টানে না, মগজে ধরে না, আত্মায় পায় না।
………………………
কিছু লোকের ‘সব‘ আছে আবার ‘কিছু‘ নাই,, কিছু লোকের ‘কিছু‘ নাই আবার ‘সব‘ আছে।
আপেক্ষিক দ্বান্ধিকতা খেলেন সাধু সাঁই, কানা অধম আয়েশ করে গরু-মূলার ঝোল খায়।
-ড. সফিকুল ইসলাম।
(লেখাটি ভালো লাগলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। কিংবা ইমেইল করতে পারেন অনুভূতি জানিয়ে Shafiq.bcs@gmail.com। শেয়ার করতে পারেন ফেসবুকে বা লিংকডইনে। )