অলসদের কাজে লাগাতে হবে
বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে দেখলাম। গ্রামে কী শহরে সবখানে একচিত্র। সংসারে কিছু লোক আছে বাপের হোটেলে খেতে খেতে জীবনের অর্ধেক পার করে দেয়। আবার কিছু সংসারে একজন কাজ করে পাচঁজন বসে খায়।দুই বোন চাকরি করে, তিনভাই আদর খায়। দুইভাই বিদেশ থাকে তিনভাই ঘুরে। বিড়িপান খায় আর মাস্তানি করে। বিন্দুমাত্র লজ্জা বা আত্মসম্মানবোধ নেই এদের। আমাদের দেশে ভ্রাতৃবন্ধন দৃঢ়। সুতরাং এক ভাইয়ের টাকায় দশ ভাইবোন চলি। ভাইয়েরাও ভালো, দুহাতে দেয়। সেটা সমস্যা না। যদি বাকি ভাইবোনেরা প্রস্তুতি নেয় ভবিষ্যৎ গড়ার। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় কিছু ভাইবোন যারা শুধু নিতেই আছে নিতেই আছে। নির্বিকারভাবে।একভাই বিদেশে কষ্ট করে আরেকভাই হোন্ডা দৌড়ায়ে রাজনীতির লেজুরবৃত্তি করে, দুচার দশটা প্রেম করে, আকাম কুকাম করে। একভাই কৃষি কাজ করতে করতে ল্যাংটি শুকায়না, আরেকভাই সারাদিন লুঙ্গির কুচি হাতে ধরে সারাদিন বাবুগীরি করে।
এটা যে কতবড় রকমের ক্ষতি তার নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য এবং রাষ্ট্রের জন্য এসব আহাম্মকদের কে বোঝাবে? উৎপাদনে পিছিয়ে যাচ্ছে দেশ। সারাবিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা সেখানে পিছিয়ে যাচ্ছি। প্রতি পরিবারে যদি প্রতি পাঁচজনে যদি একজন কাজ করে দেশের এ উন্নতি হয় তবে প্রতি পরিবারে তিনজন কাজ করলে নিশ্চয়ই দেশ এর তিনগুন উন্নতি হবে। এ ইচ্ছাকৃত বেকারদের জরুরি কাজ করা আবশ্যক। চাকুরি না পেলে ব্যবসা করবে, না হলে কিছু তৈরি করে বাজারে নিয়ে বেচবে, না হলে কৃষিকাজ করবে। কিছু একটাতো করবে। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় থেকে দশবিশ বছর শেষ করে দিয়ে পরে শেষ বয়সে আফসোস করে। অথচ দশবিশ বছর ধরে যে কোন ট্যাকনিকাল কাজ শিখলে বা যে কোন ছোট ব্যবসা শুরু করলে দশ বছরে বিশাল প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হতে পারে। না, তা করবেনা, বাপের ঘাড়ে, ভাইয়ের কাঁধে বসে বসে খেতে মন চায়।
সময় গেলে সাধন হবেনা বাবু। আর কতদিন ফিডার খাইবা? সময় থাকতে ধইরা খাও, বেইল থাকতে হাঁইটা যাও।
-ড. সফিকুল ইসলাম।
(লেখাটি ভালো লাগলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। কিংবা ইমেইল করতে পারেন অনুভূতি জানিয়ে Shafiq.bcs@gmail.com। শেয়ার করতে পারেন ফেসবুকে বা লিংকডইনে। )