বিউটি পার্লারের অপব্যবহার
সৌন্দর্যবর্ধন একটি প্রয়োজনীয় কাজ। নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা ও সুন্দরভাবে উপস্থাপনও জরুরি। তাই বলে বিউটি পার্লারে যেতেই হবে আর মাত্রাতিরিক্ত প্রলেপ দিতেই হবে তা কাম্য নয়। প্রাকৃতিক যা আছে তাই ভালো। ভ্রুসহই নারী সুন্দর। ভ্রু একটা একটা করে তুলে এত কষ্ট করার কোন কারণ নেই। চুল যে কালারে আছে তাই সুন্দর। ভিন্ন কালারের কী দরকার? যারা পর্দায় কাজ করেন তারা নানা চরিত্রের কারণে এরকম করতে পারেন। সাধারণ মানুষের এসব কী দরকার? সাধারণভাবে রূপচর্চা ও যতটা ভালোভাবে নিজেকে রাখা যায় সেটা নিশ্চয়ই প্রশংসনীয়। কিন্তু এমন যেন না হয় যে লোকে আপনাকে চিনতে পারছেনা।
এক মধ্যবয়স্ক নারীর হার্টসার্জারির চলাকালে সে আবছা দেখতে পেল যে গড তার সামনে হাজির। মহিলা প্রশ্ন করলো, ‘আমি কি বাঁচবো? ঈশ্বর বললো ‘না, তুমি মরবেনা, আরও ত্রিশ বছর বাঁচবে।
ত্রিশ বছর বাঁচবে শুনে মহিলা হার্ট সার্জারির পরপরই সুস্থ হয়ে শরীরের বিভিন্ন ইমপ্ল্যান্ট করলো, বডির শেইপ পাল্টালো, মাথায় চুল স্থাপন করলো, ঠোঁটে ইনজেকশন দিয়ে কামনাময়ী করলো, চোখের লেন্স পড়লো, বলিরেখা ডিলিট করলো, মুখের আদল পরিবর্তনের জন্য ও আরও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিউটি পার্লারে যা যা করা যায় সব করলো।
তাকে সত্যিই খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল। তরুণী দেখাচ্ছিল। বিউটি পার্লার থেকে ফেরার পথে রাস্তা ক্রস করার সময় গাড়ির নিচে চাপা পড়ে মহিলা মারা গেলো।
পরকালে ঈশ্বরের সাথে দেখা। মহিলা কোন দেরি না করেই প্রথমে প্রশ্ন করলো তুমি না বলেছিলে, আমি আরও ত্রিশ বছর বাঁচবো। রাইট? তাতো সত্য। বললেন ঈশ্বর।
তাহলে আমি এখন মারা গেলাম কেন? মহিলার অবাক করা প্রশ্ন।
ঈশ্বর কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলেন, আমি তোমাকে চিনতে পারিনি“
-ড. সফিকুল ইসলাম।
(লেখাটি ভালো লাগলে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। কিংবা ইমেইল করতে পারেন অনুভূতি জানিয়ে Shafiq.bcs@gmail.com। শেয়ার করতে পারেন ফেসবুকে বা লিংকডইনে। )